শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ০১:০১ পূর্বাহ্ন

চীনের নভোচারীরা মহাকাশ স্টেশনে হাঁটলেন

অনলাইন ডেস্ক:: চীনের তৈরি নতুন মহাকাশ স্টেশনে প্রথমবারের মতো হাঁটাহাঁটি করলেন দেশটির নভোচারীরা।

রোববার চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে এ খবর দিয়েছে এএফপি। মহাকাশে থাকা অবস্থায় এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বের হলেন চীন নভোচারীরা।

গত ১৭ জুন চীনের গাংসু প্রদেশে গোবি মরুভূমির একটি উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে শেনজু-১২ নভোযান উৎক্ষেপণ করা হয়। এতে তিনজন নভোচারী ছিলেন। তারা মহাকাশ স্টেশনে তিন মাস অবস্থান করবেন। এরা হলেন-নি হাইসেং, লিই বোমিং এবং ট্যাং হংবো। স্টেশনের ভেতর ১৭ মিটার লম্বা আর চার মিটার চওড়া সিলিন্ডার আকৃতির তিয়ান নামক কক্ষে থেকে তারা গবেষণা করবেন। এ ছাড়া মিশন কমান্ডার নি হাইসেং এবং তার দুই সহযোগীর প্রধান কাজ ছিল মহাকাশ কেন্দ্রে তৈরি সাড়ে বাইশ’ টন ওজনের তিয়ানে মডিউলটিকে সচল করা। এটি গত এপ্রিলে মহাকাশ কেন্দ্রে পাঠানো হয়। রোববার সকালে এদের দুজন মূল কেবিন থেকে বের হন। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিসিটিভি ফুটেজে তা দেখানো হয়েছে। এতে দেখা গেছে নভোচারীরা কেবিনে ব্যায়াম করার সময় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে নিচ্ছেন। এরপর তাদের কেবিনের দরজা খুলে মডিউল থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা গেছে। আশা করা হচ্ছে তারা ছয় থেকে সাত ঘণ্টা হাঁটাহাঁটি করবেন।

মিশন চলাকালে মহাকাশে তাদের দুবার হাঁটার পরিকল্পনা রয়েছে। এটি তাদের প্রথম হাঁটার ঘটনা।

নতুন একটি স্টেশন তৈরি এবং সেখানে দীর্ঘ সময়ের জন্য নভোচারী পাঠানো মহাকাশে চীনের উত্তরোত্তর সক্ষমতা বাড়ার আরেক নিদর্শন। কমিউনিস্ট পার্টির শততম বার্ষিকী পালনের প্রেক্ষাপটে চীন বিগত পাঁচ বছর পর মহাকাশে যে মনুষ্য মিশন সাফল্যের সঙ্গে পরিচালনা করছে তা তার মর্যাদাকে বাড়িয়েছে বহুগুণ। এই মিশনে অংশ নেওয়ার আগে নভোচারীদের ছয় হাজারেরও বেশি ঘণ্টা প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। চীনের মহাকাশ সংস্থা আগামী বছরের শেষ নাগাদ মোট ১১টি মিশন চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে।

মঙ্গলে আমিরশাহির মহাকাশযান : মঙ্গলের সেই রহস্যে মোড়া মেরুজ্যোতি। ‘লাল গ্রহ’ মঙ্গলে রহস্যে মোড়া এক ধরনের মেরুজ্যোতি দেখল সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মহাকাশযান ‘হোপ’। যা আগে আর কোনো মহাকাশযানের পক্ষে দেখা সম্ভব হয়নি। ‘হোপ’ মিশনের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে-এই ধরনের মেরুজ্যোতি দেখা যায় শুধুই মঙ্গলের রাতের দিকের অংশে। তবে লাল গ্রহের রাতের দিকের অংশে আরও এক ধরনের মেরুজ্যোতি দেখা যায়। সেটা হয় যখন খুব জোরালো সৌরঝড় (‘সোলার স্টর্ম’) এসে আছড়ে পড়ে মঙ্গলের ওপর। সেই সময় মঙ্গলের রাতের দিকের গোটা আকাশ মেরুজ্যোতির চোখধাঁধানো আলোয় হয়ে ওঠে আলোকিত।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com